দ্য কিউরিয়াস ইনসিডেন্ট অব দ্য ডগ ইন দ্য নাইট টাইম


সম্প্রতি পড়া মনের উপর প্রভাব ফেলা অন্যতম একটা বই। ব্রিটিশ লেখক মার্ক হ্যাডন ২০০৩ সালে বইটি লিখে আলোচনায় আসেন, বোয়েক প্রাইজ, হুইটব্রেড প্রাইজ,কমনওয়েলথ রাইটারস প্রাইজ ফর বেস্ট ফার্স্ট বুক সহ অনেক অনেকগুলো পুরস্কার অর্জন করে, এছাড়া ম্যান বুকার প্রাইজের লংলিস্টে ছিল।
বইটা এক কিশোরের ফার্স্ট পারসন পয়েন্ট অব ভিউ থেকে বর্ণিত হয়েছে, ক্রিস্টোফার নামক এ কিশোরটি অটিজম বা স্যাভান্ট সিন্ড্রমে আক্রান্ত, তবে লেখক এটা পরিষ্কার করে না। আমার কাছে মনে হয়েছে অটিজম।অটিস্টিক শিশুরা কিভাবে চিন্তা করে সেটা এখনো বেশ ধোঁয়াশাপূর্ণ মেডিকেল সায়েন্সে, লেখক যদিও স্বীকার করেছেন তিনি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন, তবে ক্রিস্টোফারের চিন্তাভাবনা পড়ে মনে হয়- হয়তো এভাবেই তারা চিন্তা করে।
বইটা শুরু হয় একটা রহস্য উপন্যাসের মত করে, ক্রিস্টোফারের এক প্রতিবেশীর কুকুরের খুন হওয়া এবং সেটার রহস্য উদঘাটনে ক্রিস্টোফারের তদন্তে নামা দিয়ে। তবে এটা মোটেও রহস্য উপন্যাস না, এ ধরনের উপন্যাসকে হয়তো নীরিক্ষাধর্মী বলা চলে যেগুলো আসলে জনরায় ফেলা বেশ কঠিন।
ক্রিস্টোফারের চিন্তাগুলো বেশ ইন্টারেস্টিং এবং যৌক্তিক। কিছু কিছু চিন্তায় বেশ চমকে উঠতে হয়।
যেমন ক্রিস্টোফার মিথ্যা বলতে পারে না। এটার ব্যাখ্যা সে এভাবে দিয়েছে-
‘মানুষ যখন মিথ্যা বলে তখন সে এমনকিছু বলে যেটা আসলে ঘটেনি। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কেবলমাত্র একটি ঘটনাই ঘটতে পারে, কিন্তু ঘটেনি এমন ঘটনার সংখ্যা অসীমসংখ্যক হতে পারে। তাই আমি যদি এমন কিছু বলতে চাই যা ঘটেনি, তাহলে অন্যান্য সেই অসীম সংখ্যক ঘটনা যা ঘটেনি নিয়ে ভাবতে থাকি।’
ক্রিস্টোফারের জীবন নিয়ে ভাবনাটা চমৎকার।সে মানুষের অনেক কিছুই বোঝে না, কি কারনে মানুষ মিথ্যা বলে জোক করে সেটাও তার কাছে রহস্য। তার দৃষ্টিতে
‘জীবন হচ্ছে মৌলিক সংখ্যার মত, সেটা খুবই যৌক্তিক, কিন্তু তাদের ভেতরের নিয়মটা কখনোই বের করা যায় না, যদি তুমি সারাদিন সারারাত চিন্তা করো তারপরও না।’
ভালবাসার সংজ্ঞাও তার কাছে বেশ সহজ সরল-
তার বাবা তাকে জিজ্ঞেস করে, ক্রিস্টোফার আমি তোমাকে ভালবাসি এটা কি তুমি বুঝতে পারো।
এ প্রশ্নের জবাবে ক্রিস্টোফার এর ভাবনা-
And I said "Yes," because loving someone is helping them when they get into trouble, and looking after them, and telling them the truth, and Father looks after me when I get into trouble, like coming to the police station, and he looks after me by cooking meals for me, and he always tells me the truth, which means that he loves me.”

ক্রিস্টোফার তার সারল্যে সবকিছু বিচার করে যুক্তি দিয়ে, তখন আমাদের হয়তো মনে হতে পারে- যুক্তিবাদ কি এক ধরনের সারল্য। কিংবা সত্য কি যুক্তির মত!
এরকম ছোট ছোট চিন্তা-ভাবনা ছাড়াও ক্রিস্টোফারের গণিত ও বিজ্ঞান নিয়ে, নানা পাজল নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে- ক্রিস্টোফার গণিত ভালবাসে-তাই বাইরের পৃথিবী যখন তার অসহ্য মনে হয় তখন সে দ্বিমাত্রিক বা ত্রিমাত্রিক নানা ইকোয়েশন নিয়ে চিন্তা করে, কখনো কোন কোন বিখ্যাত সমস্যা নিয়ে সময় পার করে দেয়।
এরকম ছোট ছোট দর্শন, চিন্তাভাবনা বইটাতে কোন জটিল প্লট না থাকা সত্ত্বেও সুখপাঠ্য করে তুলেছে এবং এক অটিস্টিক কিশোরের দৃষ্টিতে বাস্তত জগতের যুক্তিহীন কিছু ব্যাপারের সমালোচনাও উঠে এসেছে।

আরো কিছু ভাললাগা উক্তি( আমি টাইপ করিনি, গুডরিডস থেকে কপি পেস্ট করলাম)-
-“maths wasn't like life because in life there are no straightforward answers in the end”
- Siobhan said that when you are writing a book you have to include some descriptions of things. I said that I could take photographs and put them in the book. But she said the idea of a book was to describe things using words so that people could read them and make a picture in their own head.
- And people who believe in God think God has put human beings on the earth because they think human beings are the best animal, but human beings are just an animal and they will evolve into another animal, and that animal will be cleverer and it will put human beings into a zoo, like we put chimpanzees and gorillas into a zoo.
- I like dogs. You always know what a dog is thinking. It has four moods. Happy, sad, cross and concentrating. Also, dogs are faithful and they do not tell lies because they cannot talk.

No comments:

Post a Comment